BANK FOCUS WRITING

ব্যাংকিং খাতে সুশাসন

ব্যাংকিং খাতে সুশাসন রচনাটি ব্যাংক ফোকাস রাইটিং এর জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিগত সালে ব্যাংকসহ নানা চাকুরির পরিক্ষায় ব্যাংকিং খাতে সুশাসন বিষয়ক বিভিন্ন প্রশ্ন এসেছে। ব্যাংকিং খাতে সুশাসন রচনাটি আশা করি ব্যাংকে চাকুরির পরিক্ষার্থীদের কাজে আসবে।ব্যাংকিং খাতে সুশাসন রচনাটি ব্যাংক ব্যাতিত অনান্য চাকুরির পরিক্ষার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ।ব্যাংকিং খাতে সুশাসন রচনাটি নিচে দেওয়া হলো।

ব্যাংকিং খাতে সুশাসন

 

সরকার যত শক্তিশালী হোক না কেন, আন্তরিকতা না থাকলে বা অভ্যন্তরীণ কোন্দল বা সমস্যা থাকলে সুশাসন বা আইনের শাসন প্রয়োগ করা কঠিন হয়ে পড়ে।ব্যাংকিং খাতের প্রতারক বা কেলেঙ্কারির হোতারা কেন সময়মত শাস্তি পাচ্ছেনা,তা সাধারণ জনগন গবেষণা করেও জানতে পারবে না।এখানে প্রতিটি পক্ষের শক্তি বা প্রভাব খাটানোর কৌশল বা দক্ষতার ব্যাপার হতে পারে। বেসরকারি ব্যাংক পরিচালকরা যে সুবিধাগুলো আদায় করে নিয়েছেন যেমন- পরিচালক হিসেবে পরিবারের সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি,সরকারের আমানতের ভাগ ২৫ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশে বৃদ্ধি,সি আর আর কমিয়ে নেয়া এ সবই তাদের প্রভাব ও কৌশল খাটানোর দক্ষতা।তাই ধরে নিতে হবে বেসরকারি ব্যাংকের প্রভাবশালী পরিচালকদের তাদের অদক্ষতা বা অপরাধের জন্য সরকারের জন্য কঠিন।তেমন সরকারি ব্যাংকের প্রভাবশালী বা আত্মীয়তাবদ্ধ আমলাদের তাদের অদক্ষতা বা অপরাধের জন্য শাস্তি দেয়া সরকারের পক্ষে দুরূহ। সুতরাং সরকারকেও বিভিন্ন পরিস্থিতিতে ক্ষমতা প্রয়োগের জন্য কৌশল অবলম্বন করতে হবে সে কৌশল হলো ব্যাংকিং আইনে নিম্নোক্ত আরো কিছু ধারা সংযোজন করা।

১। কোন ব্যাংকের পরিচালক তার নিজের বা পরিবারের সদস্যের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দিতে পারবেন না।প্রমাণিত হলে তার পদ হারাবেন এ নিয়মের জন্য পর্ষদ দায়বদ্ধ থাকবে।

২। কোন ব্যাংকের পরিচালক পরস্পরের যোগসাজশে অন্য ব্যাংকের পরিচালক কে মালিকাধীন প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দিতে পারবেন না, প্রমানিত হলে তার পদ হারাবেন।এ নিয়মের জন্য পর্ষদও দায়বদ্ধ থাকবে।

৩। কোন ভুয়া বা নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানকে যথেষ্ট জামানত ছাড়া বা নামমাত্র বা ভুয়া জামায়াতের বিপরীতে ঋণ দিলে অনুমোদনকারী চেয়ারম্যানসহ সব পরিচালক যৌথভাবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে দায়বদ্ধ থাকবে।

৪। কোন ব্যাংকের খেলাপ ঋণ মোট বিতরণকৃত ঋণের ৪ শতাংশ অতিক্রম করতে পারবে না।করলে এক বছরের মধ্যে তা কমিয়ে আনতে হবে।ব্যর্থতায় ওই ব্যাংককে অন্য যে কোন ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করা হবে।সেখানে পরিচালকরা শেয়ারের মালিকানা অনুযায়ী ক্ষমতা উপভোগ করবেন।

ব্যাংকিং আইনে উল্লেখিত ধারাগুলো সংযোজন করলে এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকে তা নিরঙ্কুশভাবে বাস্তবায়ন করার ক্ষমতা দিলে পরিস্থিতি পাল্টে যেতে পারে।৪ নং ধারাটি হবে পরিচালকদের জন্য সবচেয়ে সংবেদনশীল ও মিসরির ছুরির মতো মর্যাদাসম্পন্ন শাস্তির ব্যবস্থা।এ শাস্তি ব্যাংকিং আইনে সংযোজিত হলে পরিচালকরা সতর্ক হবেন আশা করা যায়।পর্ষদের পরিচালকরা সৎ থাকলে পুরো ব্যাংকিং ব্যবস্থাপনা সতর্ক থাকবে।

 

ফোকাস রাইটিং এর লেখাগুলো মাঝে মাঝে আপডেট এর প্রয়োজন পড়ে, বিশেষ করে ডেটাগুলো। আপডেট এর প্রয়োজন হলে নিজে নিজে করে নিবেন।

 

Visit: https://www.examserious.com

Like our facebook page: Exam Serious

 

সাধারণত, আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে সরকারি, বেসরকারি, এনজিওও ব্যাংকিং সেক্টরের বিভিন্ন  চাকুরির বিজ্ঞপ্তি এবংনিয়োগের পরীক্ষার ফলাফল পোস্ট করে থাকি। পাশাপাশি আমরা চাকুরির পরিক্ষার প্রশ্নের সমাধান এবংঅনান্য তথ্য পোস্ট করে থাকি। আমাদের লক্ষ্য চাকুরি সন্ধানীদের চাকুরি পেতে সাহায্য করা। আমরা বিশ্বাস করি, মুল্যবান তথ্য চাকুরি পেতে সহায়তা করে। আমাদের ওয়েবসাইটে পোস্টকৃত চাকুরির বিজ্ঞপ্তিগুলো চাকুরিজীবি ও বেকার উভয়দেরকে সাহায্য করবে। প্রতিদিনের আপডেটের জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে চোখ রাখুন এবং আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে রাখুন।

Md. Rashedul Islam

I'm an enthusiastic writer presently working as a government employee (BCS). Had my Graduate and Post Graduate Degrees from Dhaka University and gathered considerable experience in job market analyses and content writing especially both in Govt. and Private job sectors.

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!